পদ্ধতি-১ : বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক
সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করা যায় এই কাজের মাধ্যমে। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে প্রচুর পরিমান ভিজিটর যায় এমন ওয়েব সাইট। ভিজিটর যত বেশি বিজ্ঞাপনের মুল্য তত বেশি (সংবাদপত্র কিংবা টিভি বিজ্ঞাপনের সাথে তুলনা করতে পারেন)। বিজ্ঞাপন আপনাকে খুজতে হবে না, অন্যরা আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন দেবে এবং ভিজিটর সেখানে ক্লিক করলেই আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। আপনার ক্লায়েন্ট যেহেতু বিশ্বজুড়ে সেহেতু আপনার আয় তাদের তুলনায় বেশি হওয়া সম্ভব।
দক্ষতা : ধরে নেয়া হচ্ছে আপনার চালু ওয়েবসাইট রয়েছে। না থাকলে নিজে অথবা অর্থ ব্যয় করে তৈরী করে নিতে হবে। নিয়মিত সেখানে পরিবর্তন প্রয়োজন হবে। কাজেই অন্তত সাধারন পর্যায়ের এইচটিএমএল জানতে হবে। যদি ব্যানার বিজ্ঞাপন তৈরী করতে হয় তাহলে গ্রাফিক ডিজাইন জানা থাকলে খরচ কমবে।
ব্যবসা শুরুর খরচ : যেহেতু বিপুল পরিমান ভিজিটর আপনার লক্ষ্য সেহেতু নিজস্ব ডোমেই-হোষ্ট ব্যবহার করা প্রয়োজন। আপনার খরচের তালিকায় থাকবে ওয়েব পেজ তৈরী, ডোমেইন নেম (অনেক ক্ষেত্রেই হোষ্টিং এর সময় বিনামুল্যে পাওয়া যায়) এবং হোষ্টিং খরচ। বিশ্বের সেরা হোষ্টিং সার্ভিসের জন্য খরচ মোটামুটি ৫০ ডলার। এছাড়া যে কম্পিউটার ব্যবহার করবেন সেই হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার খরচের সাথে যোগ হবে। খুব বেশি বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনার জন্য দামী সফটওয়্যার প্রয়োজন হতে পারে। ইন্টারনেট ব্যবহার সবচেয়ে বড় সুবিধে, অফিসের জন্য খরচ নেই।
জনবল : আপনি একাই এই ব্যবসা চালু করতে পারেন। তবে দুচারজন সঙ্গিসাথি সবসময়ই বড় কাজের সহায়ক। ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির সাথেসাথে জনবল বাড়তে পারে।
ই-বিজনেস পদ্ধতি : আপনাকে যেহেতু লেনদেনের এবং যোগাযোগের কাজ পুরোটাই অনলাইনে করতে হবে সেহেতু ই-বিজনেসের নিয়মকানুন জানতে হবে। খুব সহজেই ইন্টারনেট খুজে এসব তথ্য জেনে নিতে পারেন।
যেদিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন : যেহেতু আপনি বড় আকারের ব্যবসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেহেতু যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে সেটি কাজের জন্য উপযোগি কিনা যাচাই করে নেয়া প্রয়োজন। বিজ্ঞাপনের ধরন অনুযায়ী জটিল এবং দামী সফটওয়্যার প্রয়োজন হতে পারে (বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনার সফটঅয়্যারগুলি নিজেই বিজ্ঞাপনকে বিভিন্ন পেজে দেখানোর জন্য সাজিয়ে দেয়)।
সার্ভারে কতটুকু যায়গা প্রয়োজন হতে পারে সেটা নিশ্চিত হয়ে নেয়া প্রয়োজন। ভিডিও ব্যবহার করলে বেশি যায়গা প্রয়োজন হতে পারে। সার্ভারে এজন্য বেশি অর্থ দিতে হয়।
ক্লায়েন্ট যেন সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে (টেলিফোন অথবা
অনলাইন চ্যাট) সে ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন।
Web Hosting
প্রচারের জন্য যতটা সম্ভব নিজের সাইটের বিজ্ঞাপন দেয়া প্রয়োজন। এছাড়া ওয়েব সাইটের প্রচারের জন্য যে পদ্ধতিগুলি প্রচলিত সেগুলি ভালভাবে দেখে নেয়া প্রয়োজন। জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলি দেখলে সেখান থেকে ধারনা পাওয়া যেতে পারে। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর নিয়ম মেনে চলুন।
পুরো কাজের জন্য পরিকল্পনা আগেই করা প্রয়োজন। পৃথিবীর শতশত কোটি ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনার নিজের ওয়েবসাইট পরিচিত করার কাজটি সহজ ধরে নেবেন না। শুরু করলেই সাথেসাথে টাকা আসতে শুরু করবে এটাও মনে করবেন না। টাকা আয়ের কোন সহজ পথ নেই। ওয়েবসাইটকে জনপ্রিয় করতে, ভিজিটরদের আকৃষ্ট করতে নানারকম পদ্ধতি প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন ওয়েবসাইট বিশ্লেষন করে ধারনা পেতে চেষ্টা করুন কোন ধরনের সাইট তৈরী সম্ভব, কতটুকু সাফল্য পাওয়া সম্ভব। এজন্য কয়েকমাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
শুরুর জন্য নিজের ওয়েবসাইট তৈরী করে জনপ্রিয় করার কাজটি বড় এবং জটিল মনে হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই ধারাবাহিকে তুলনামুলক ছোট এবং সহজ অন্য পথগুলি দেখুন।
আপডেট
ঠিক কিভাবে টাকা আয় হবে জানতে চেয়েছেন কেউ কেউ। কোন প্রতিষ্ঠান যদি আপনার ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চায় তার কাছে টাকা নেবেন। অনেকটা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়াপর মত। এটা একটা পদ্ধতি।
আরেক পদ্ধতি হচ্ছে গুগলের এডসেন্স ব্যবহার করা।
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ‘এডস বাই গুগল‘ লেখা বিজ্ঞাপন লিংক নিষ্চয়ই দেখেছেন। এজন্য গুগলের ওয়েবসাইটে নিজের তথ্য দিয়ে রেজিষ্টার করতে হয়। এরপর তাদের নির্দেশ মত কিছু কোড ব্যবহার করলেই আপনার ওয়েব সাইটের বিষয়ের সাথে মিল রেখে বিজ্ঞাপন আসতে থাকবে। ভিজিটর যখন কোন লিংকে ক্লিক করবেন তখন প্রতি ক্লিকের জন্য আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে। লিংকভেদে অর্থের পরিমান কমবেশি হয়।
কাজেই, আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর যত বেশি ক্লিক করার সম্ভাবনা তত বেশি, আয়ের সম্ভাবনা তত বেশি। আবার বিনোদন মুলক লিংকের চেয়ে বিষয়ভিত্তিক লিংকে ক্লিকে অর্থের পরিমান বেশি। যেমন ক্রিকেট বিষয়ক লিংকে ক্লিকের জন্য হয়ত পাবেন কয়েক সেন্ট, অর্থ বিষয়ক লিংকে পাবেন কয়েক ডলার।
Web Hosting
নিজের ওয়েব সাইটে নিজেই ক্লিক করে আয়ের চেষ্টা করবেন না। ফলস ক্লিক যাচাই করার ব্যবস্থা আছে। সেক্ষেত্রে আপনার একাউন্ট বাতিল করা হবে।
যেকোন সময় আপনার একাউন্টে জমা টাকার পরিমান জানা যাবে এবং কোন সময়ের বিল পেতে চান জানালে গুগল আপনার ঠিকানায় ব্যাংকচেক পাঠাবে।
গুগলের এডসেন্স সবচেয়ে সুবিধেজনক। তাদের বিনামুল্যে ওয়েব সার্ভিস ব্লগার (ব্লগষ্পট) ব্যবহার করলে ওয়েব হোষ্টিং এর খরচও বেচে যায়, তারা ব্যাংক চেক পাঠায় যা ভাঙানো সহজ।
আরো অনেকেরই এধরনের বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক চালু আছে।
নিজের ওয়েবসাইট তৈরী না করেও ইন্টারনেটে আয় করা যায়।
http://www.esahadat.co.cc/


0 মন্তব্য(গুলি) to "Earn bY Blogger"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন